থানার ওসি সহ ১৮ জন পুলিশ কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ : চাঞ্চল‍্য খন্ডঘোষে

22nd August 2020 11:21 pm বর্ধমান
থানার ওসি সহ ১৮ জন পুলিশ কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ : চাঞ্চল‍্য খন্ডঘোষে


বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান ) :  পূর্ব বর্ধমান  জেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে।এবার পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী মিলিয়ে  জেলার  খণ্ডঘোষ থানার  ১৮ জন  করোনায় আক্রান্ত হলেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জনের করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁদেরকে ভর্তি করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালে । বাকি আক্রান্তদের ‘হোম আইসোলেশনে’  পাঠানো  হয়েছে । খণ্ডঘোষ থানার এতজন পুলিশ কর্মী এক সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন জেলা পুলিশের শীর্ষ মহল ।  প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে খণ্ডঘোষ থানার শীর্ষ আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হন ।  সুস্থ হয়ে কিছুদিন আগে তিনি কাজে যোগ দেন । শনিবার ফের তার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয় । রিপোর্ট আসার পর জানা যায় খণ্ডঘোষ থানার অফিসার ইনচার্জ ফের করোনায় আক্রান্ত  হয়েছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে 
আপাতত খণ্ডঘোষ থানা ভবনে কাজ  বন্ধ রাখা হয়েছে । জীবানু মুক্ত করার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত থানা সংলগ্ন একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে দৈনন্দিন কাজ চালানোর কথা ভাবছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। খণ্ডঘোষ থানা পরিচালনার দায়িত্ব  সিআই (সি ) সঞ্জয় কুণ্ডুকে  দেওয়া হয়েছে । জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ পরিষেবা পেতে খণ্ডঘোষের মানুষজনের যাতে কোন অসুবিধা না হয়, তার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।“  স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে , শুক্রবার রাতে খণ্ডঘোষ থানার ৪ জন পুলিশ অফিসার ও কর্মীর  করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পরেই উদ্বেগ বাড়ে । সেই কারণে শনিবার ফের পুলিশ  অফিসার ও কর্মী মিলিয়ে ওই থানার ১৮ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট হয় । তাদের মধ্যে ১৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে । স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ,পুলিশ অফিসার , কর্মী ,ড্রাইভার, সিভিক ভলেন্টিয়ার , ভিলেজ পুলিশ সহ সব মিলিয়ে  খণ্ডঘোষ থানায় ৫০ জনের মত রয়েছেন । রবিবার  বাকি সবার করোনা পরীক্ষা হবে । 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ে খণ্ডঘোষে ।  করোনা আক্রান্ত হয়ে খণ্ডঘোষ থানা এলাকার এক বাসিন্দার মৃত্যুও হয় । সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য একেবারে সামনের  সারিতে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন খণ্ডঘোষ থানার সকল পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা । নিয়ম মেনে থানার ভবন , পুলিশ গাড়ি  জীবানু মুক্ত করার কাজ করেও সংক্রমণ রোখা গেল না । ইতিপূর্ব জেলা পুলিশের দুই শীর্ষ আধিকারিক , মাধবডিহি থানা ওসি করোনা আক্রান্ত হন ।  চিকিৎসায়  সুস্থ হয়ে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন । অতি সম্প্রতি  মেমারি থানার পালসিট পুলিশ ফাঁড়ির ৯ পুলিশ কর্মীর একসঙ্গে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে ।  তার জন্য পালসিট ফাড়িতে  কাজ কর্ম বন্ধ রাখতে হয় । করোনা যোদ্ধারা এই ভাবে সংক্রমিত হয়ে পড়ায় দুঃশ্চিন্তায় জেলার প্রশাসনিক কর্তারাও । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।